Skip to main content

(প্রেমিক) তুমি কার জন্য কাঁদো?

কিছু হারালে কাঁদতে হয়না পাগলা! যা পেয়েছিলে পৃথিবী তোমাকে দিয়েছিলো, যা হারিয়েছ পৃথিবী আবার নিয়ে গেছে। তোমার তো নিজের বলতে কিছুই ছিলনা, তো লস কিসের? শুধু তুমি নয়, চলার পথে অনেক মহৎ ব্যক্তিরাও অনেক কিছুই হারায়, আবার তারচেয়ে ভাল কিছু অর্জনও করে।

তোমার কর্ম বলে দিবে তুমি কী পাবে। তোমার ধৈর্য তোমাকে মহৎ কিছু এনে দিবে। যে চলে যাচ্ছে, তাকে যেতে দাও। যে হিংসা করছে তাকে আরো হিংসা করতে দাও। তাকে বুঝিয়ে দাও নিন্দুকের নিন্দার চেয়ে, হিংসুকের হিংসার চেয়ে, তোমার সম্ভাবনা বহুগুণ বেশি। তুমি নদী দেখছ, তখন বুঝতে পেরেছ পুকুর অনেক ছোট ছিল। তুমি সাগর দেখেছ, তখন আরো বুঝতে পেরেছ নদী কিছুই ছিলনা। তুমি মহাসাগর এখনো দেখনি, দেখবে সাগর কিংবা নদীর চেয়ে মহাসাগর কত বিশাল!
কারো হিংসা তোমাকে কাঁদাতে পারে না, কারো চক্ষুশূল তোমাকে থামাতে পারেনা। হয় তুমি হারানোর বেদনায় ধ্বংস হবে, নয়তো ঘোরে দাঁড়াবে। বিশ্বকে দেখিয়ে দিবে তুমি কাপুরুষ ছিলেনা। তুমি নিজের পছন্দ বিসর্জন দিয়েও বাঁচতে পার। নিজেকে নতুনভাবে গড়তে পার। ভবিষ্যৎ কেউ এসে যাতে বলতে না পারে তুমি অমুকের প্রতি দুর্বল ছিলে। অমুকের বিরহে তুমি কেঁদেছ কিংবা তুমি একটা অকালপক্ক্ ছিলে।
কান্না নারীর জন্য যথোপযোক্ত, পুরুষ হয়ে জন্মেছ সকল অন্যায় অবিচার, পাওয়া কিংবা না পাওয়া সহ্য করেও অটল/অবিচল থাকার জন্য। তোমার চাওয়াটা যদি সঠিক হয়, তবে তুমি তোমার সমর্থ অনুযায়ী ফাইট করবে, আর যদি ভুল করে চাও বা অসমর্থ হও, তাহলে মন থেকে ভুলে যাবে, এটায় নিয়ম।
যখন তুমি উন্মাদ হবে, তখন কাউকে ভালবেসে কাঁদবে। যখন তুমি মোহে থাকবে, তখন কাউকে না পেলে উন্মাদ হয়ে যাবে। আর যখন তুমি প্রকৃত জ্ঞানী হবে, তখন জাগতিক বিষয়ে ধৈর্য ধারণ করবে, আর মহান আল্লাহর প্রেমে নিজেকে উৎসর্গ করবে। নারী, অর্থ কিংবা নেতৃত্ব ইমানদারের টার্গেট হতে পারেনা, মুমিনের একমাত্র টার্গেট মহান আল্লাহর আনুকূল্য পাওয়া এবং প্রিয় নবী (স.) এর শাফায়াতের যোগ্য হওয়া।
কেউ কারো জন্য জন্মগ্রহণ করে না, সবাই নিজের জন্য জন্মগ্রহণ করে। কঠিন মুহূর্তগুলোতে কেউ কারো পাশে থাকেনা, প্রিয় জীবনসঙ্গিনী কিংবা গর্বধারিনী মাও সব সময় পাশে থাকতে পারে না। নিজের লড়াইটা নিজেকেই লড়তে হয়। বন্ধু কখনো শত্রু হবে, শত্রুও কখনো বন্ধু হবে। এখানে কেউ কারো চির শত্রু কিংবা বন্ধু নয়। জীবনের প্রতিটি পা ফেলতে ভাবতে হবে সৃষ্টিকর্তা তোমাকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছে তুমি সেই লক্ষ্যে কাজ করছ কিনা? সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্য বুঝতে হলে তোমাকে মরার আগেই নিজেকে মৃত ভাবতে হবে। চিন্তা করতে হবে তুমি মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আছ, যা করছ তা ভেবে করছ নাকি জাগতিক মোহ তোমাকে গ্রাস করেছে?
মনে রাখবে মুক্তার জন্য ক্রন্দন করলে হীরাটা নির্ঘাত হারাবে। তখন না পারবে কাঁদতে, না পারবে সহ্য করতে। আর লজ্জা বিসর্জন দিয়ো না, নিজেকে সংযত করো, ব্যক্তিত্ব তৈরি কর। তরুণ বয়সের/যৌবনকালের ভুল শুধরানো কঠিন কিছু নয়, নিজেকে শুধরাও, আর ভুল করো না। শুভ কামনা

Comments

Popular posts from this blog

কম্পিউটারে আরবি লিখন পদ্ধতি ও কিছু কথা (قَاعِدَةُ كِتَابَةِ الُّغَةِ العَرَبِيِّ فِي كَمْبِيُوتَرَ واقْوَالِهَا)

যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম  হলো ভাষা। পৃথিবীতে প্রায় ৭০০০-এরও অধিক ভাষা  (اللُّغَةُ) প্রচলিত রয়েছে। এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীরা তাদের ভাব বিনিময় করে। তবে পৃথিবীর সব মানুষই তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এ জন্যই কবি রামনিধি গুপ্ত বলেছেন-  “নানান দেশের নানা ভাষা  বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা?”   এরপরও বৈশ্বিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানুষকে বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করতে হয়।  ইংরেজি ও আরবি তার মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া মুখাভিনয়ের মাধ্যমেও মানুষ গ্লোবালি কমিউনিকেট করতে পারে। মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় জ্ঞান আহরণে আরবি ভাষা শিখাটা খুবই জরুরি। কুরআন ও হাদিসের প্রকৃত মর্মবাণী উপলব্ধি করতে হলে আরবি ভাষা জানার বিকল্প নেই। আধুনিক শিক্ষার অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার কম্পিউটার। কম্পিউটারের একেবারে প্রাথমিক ও মৌলিক স্কিল হচ্ছে টাইপিং। কম্পিউটার টাইপিং-এর সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো ফলো করলে খুব সহজে পৃথিবীর যে কোন ভাষা টাইপ করা যায়। আমি সাইফুল বিন আ. কালাম , ইংরেজি, বাংলা ও আরবি তিন ভাষারই টাইপিং পদ্ধতি নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়েছি। বাংলা টাইপিং টিউটোরিয়াল: https://youtu.be/

শিখুন ম্যাগাজিন ও বইয়ের প্লেট / সিটিপি সেটিং (জুরি)

একটি অ্যাড ফার্মে কাজ করতাম বছর তিনেক আগে। বই ও ম্যাগাজিনের অনেক কা জ করেছি। নির্দিষ্ট সাইজ নিয়ে .৭৫ ইন্সি অপসেট পাথ রেখে পেজকে কাজ অনুযায়ী দু কলাম তিন কলামে ভাগ করে লিংক করে কাজ করাটাই ডিজাইন। প্রতি ৮ পেজে ফর্মা হিসেব করে কাজ করতাম। কিন্তু বিপত্তিটা হতো আউটপুট সেটিং দিতে গিয়ে। শাফুল দা পেছনে বসে ডিরেকশন দিতো, আর আমি সেটিং দিতাম। ভাল করে বুঝতাম না। উনিও অত ইজি করে বোঝান নি। আমিও শেখার খুব আগ্রহ দেখাইনি কারণ সময়মত শাফুল দাকে তো পাচ্ছিই; তাহলে শুধু শুধু এত প্রেশার নিয়ে লাভ কী! কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাত্র বুঝবেন আউটপুট সেটিং যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যতই ডিজাইন জানেন, প্রিন্টিং আউটপুট সেটিং যদি না বুঝেন, আপনাকে সঠিক মূল্যায়ন করা হবে না। ভাল প্রতিষ্ঠানে গেলেই প্রথম প্রশ্ন আউটপুট ছাড়তে পারবেন কি না? আউটপুট সেটিং ডিজাইনের প্রাণ। অবশ্য যারা শুধুই ফ্রিল্যান্সিং করেন, লোকাল কোম্পেনিতে কাজ করেন না, তাদের ক্ষেত্রে এটা না জানলেও তেমন সমস্যা হবে না। তবে এ শিল্পে পেশাদার হতে হলে অবশ্যই প্রিন্ট আউটপুট সেটিং জানতে হবে। এরপর গুগল ও ইউটিউবে অনেক সার্চ করেও ভাল প্রিন্ট আউটপুট সেটিং-এর

সমাস শিখতে এখন আর ছয় মাস লাগেনা

সমাসের কাজ হলো একাধিক পদকে এক পদে পরিণত করা। সমাস শব্দের অর্থ হচ্ছে সংক্ষেপন বা লম্বা একটা বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করে এক শব্দে প্রকাশ করা। যেমন: শোক প্রকাশের সভা > শোকসভা। এখানে শোকসভাই হলো মূলত সমাস। আর শোক প্রকাশের সভা হলো সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্য। আমরা জানি বাক্যের অন্তরগত প্রত্যেকটি শব্দকে পদ বলে আর সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্যের প্রত্যেকটি শব্দকে সমস্যমান পদ বলে। আর সমাসকে অর্থাৎ ব্যাস বাক্য থেকে সংক্ষিপ্ত হওয়া পদটিকে বলে সমস্ত পদ। সমাজ ছয় প্রকার: আমার জনৈক বন্ধু সমাসের ছয় প্রকার কোন ভাবেই মনে রাখতে পারতো না। সে বলতো দিক অত বদদোয়া তবু আমি সমাসের ছয় প্রকার মনে রাখতে পারবনা। কিন্তু দিক অত বদদোয়া র মাঝেই সমাসের ছয় প্রকার রয়েছে।  দি = দ্বিগু ক = কর্মধারয় অ = অভ্যয়ীভাব ত = তৎপুরুষ ব = বহুব্রীহি দ = দ্বন্দ্ব প্রথমে আমরা কর্মধারয় সমাস নিয়ে বিস্তারিত শিখব। যে সমস্থ সমাসে আমরা কোন কিছুর সাথে তুলনা করি (বাস্তব, অবাস্তব বা রূপক) সেটিই কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় সমাস ৩ (তিন) প্রকার। উপমান  উপমিত রূপক উপমান শব্দের মাঝে আছে (উপমা), যেই উপমা সত্য