Skip to main content

শিখুন ম্যাগাজিন ও বইয়ের প্লেট / সিটিপি সেটিং (জুরি)

একটি অ্যাড ফার্মে কাজ করতাম বছর তিনেক আগে। বই ও ম্যাগাজিনের অনেক কাজ করেছি। নির্দিষ্ট সাইজ নিয়ে .৭৫ ইন্সি অপসেট পাথ রেখে পেজকে কাজ অনুযায়ী দু কলাম তিন কলামে ভাগ করে লিংক করে কাজ করাটাই ডিজাইন। প্রতি ৮ পেজে ফর্মা হিসেব করে কাজ করতাম। কিন্তু বিপত্তিটা হতো আউটপুট সেটিং দিতে গিয়ে। শাফুল দা পেছনে বসে ডিরেকশন দিতো, আর আমি সেটিং দিতাম। ভাল করে বুঝতাম না। উনিও অত ইজি করে বোঝান নি। আমিও শেখার খুব আগ্রহ দেখাইনি কারণ সময়মত শাফুল দাকে তো পাচ্ছিই; তাহলে শুধু শুধু এত প্রেশার নিয়ে লাভ কী!
কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাত্র বুঝবেন আউটপুট সেটিং যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যতই ডিজাইন জানেন, প্রিন্টিং আউটপুট সেটিং যদি না বুঝেন, আপনাকে সঠিক মূল্যায়ন করা হবে না। ভাল প্রতিষ্ঠানে গেলেই প্রথম প্রশ্ন আউটপুট ছাড়তে পারবেন কি না? আউটপুট সেটিং ডিজাইনের প্রাণ। অবশ্য যারা শুধুই ফ্রিল্যান্সিং করেন, লোকাল কোম্পেনিতে কাজ করেন না, তাদের ক্ষেত্রে এটা না জানলেও তেমন সমস্যা হবে না। তবে এ শিল্পে পেশাদার হতে হলে অবশ্যই প্রিন্ট আউটপুট সেটিং জানতে হবে।
এরপর গুগল ও ইউটিউবে অনেক সার্চ করেও ভাল প্রিন্ট আউটপুট সেটিং-এর কোন টিউটোরিয়াল পায়নি। দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতায় অনেক বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করে অবশেষে পুরোপুরি শিখলাম গ্রাফিক্স ডিজাইনের মূল মন্ত্র প্রিন্ট আউটপুট / সিটিপি সেটিং।
অন্যান্য কাজের আউটপুট সেটিং থেকে ম্যাগাজিন ও বইয়ের সেটিংটা একটু ভিন্ন। তাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইলাস্ট্রেটরে ম্যাগাজিন ও বইয়ের প্লেট সেটিং
প্রতিটি কাজেরই সাইজ একটি বড় ফ্যাক্ট। কোন কাজ কত সাইজে হবে আর কত মার্জিন রাখতে হবে না জানতে পারলে ডিজাইন করাটা মুশকিল হয়ে পড়ে। বিভিন্ন কাজের সাইজ দেখার জন্য আমার এই লিংকে যান। https://goo.gl/tHG3ab এই ওয়ার্ড ফাইলটি প্রতিনিয়ন আপডেট হবে। চোখ রাখুন সবসময়। প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করুন।
প্রতি ৮ পেজে এক ফর্মা। দু-তিন ফর্মার কাজ হলে পিন বাইন্ডিং করা হয় বা পিন-ব্যাক-টু-ব্যাক সেটিং দিতে হয়। এর চেয়ে বেশি হলে জুস বাইন্ডিং বা জুরি প্লেট সেটিং করতে হয়। আজকে আমরা জুরি প্লেট সেটিং নিয়ে বিস্তারিত শিখব আমার (সাইফুল বিন আ. কালামের) ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে।
১০৪ পেজের একটি সম্পূর্ণ ম্যাগাজিনকে জুরি প্লেট সেটিং করে দেখিয়েছি এই ভিডিওতে। ভিডিও লিংক: https://youtu.be/b0giypg2YzM
ভিডিওটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখলে ম্যাগাজিনের আউটপুট সেটিং নিয়ে আর কোন বিভ্রান্তি থাকবে না ইন-শা-আল্লাহ। শুধু একবার দেখেই নিঁখুতভাবে প্লেট সেটিং করতে পারবেন।
অনেকে এখনো সেই পুরোনো ইলাস্ট্রেটর ১০-এ কাজ করেন। অ্যাডুবি ইলাস্ট্রেটর সিসিতে কাজ করতে ভয় পান। তাদের জন্য খুবই সু-সংবাদ। আমি সম্পূর্ণ কাজটি ইলাস্ট্রেটর সিসিতে করেছি। তাই পুরাতন ভার্ষণ ব্যাবহারকারীরা ইলাস্ট্রেটর সিসির অনেক ম্যাজিক কাজ দেখবেন। অন্য ভার্ষণে যে কাজ অনেক জটিলভাবে করতে হয় তা এখানে অতি সহজে করা যায়। তো দেখতে থাকুন, উপকৃত হলে সাবস্ক্রাইব, লাইক, শেয়ার করে এপ্রিশিয়েট করবেন। ধন্যবাদ।

৮ পেজ জুরি সেম্পল:  https://goo.gl/c1VW5w
১৬ পেজ জুরি: https://goo.gl/fmxKe1
পিন ব্যাক টু ব্যাক: https://goo.gl/CyxNCe
প্রিন্টিং মার্ক ফাইল: https://goo.gl/DrTeBD
ফেইসবুকে আমি: https://www.facebook.com/saiful.islam.developer

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

কম্পিউটারে আরবি লিখন পদ্ধতি ও কিছু কথা (قَاعِدَةُ كِتَابَةِ الُّغَةِ العَرَبِيِّ فِي كَمْبِيُوتَرَ واقْوَالِهَا)

যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম  হলো ভাষা। পৃথিবীতে প্রায় ৭০০০-এরও অধিক ভাষা  (اللُّغَةُ) প্রচলিত রয়েছে। এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীরা তাদের ভাব বিনিময় করে। তবে পৃথিবীর সব মানুষই তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এ জন্যই কবি রামনিধি গুপ্ত বলেছেন-  “নানান দেশের নানা ভাষা  বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা?”   এরপরও বৈশ্বিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানুষকে বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করতে হয়।  ইংরেজি ও আরবি তার মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া মুখাভিনয়ের মাধ্যমেও মানুষ গ্লোবালি কমিউনিকেট করতে পারে। মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় জ্ঞান আহরণে আরবি ভাষা শিখাটা খুবই জরুরি। কুরআন ও হাদিসের প্রকৃত মর্মবাণী উপলব্ধি করতে হলে আরবি ভাষা জানার বিকল্প নেই। আধুনিক শিক্ষার অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার কম্পিউটার। কম্পিউটারের একেবারে প্রাথমিক ও মৌলিক স্কিল হচ্ছে টাইপিং। কম্পিউটার টাইপিং-এর সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো ফলো করলে খুব সহজে পৃথিবীর যে কোন ভাষা টাইপ করা যায়। আমি সাইফুল বিন আ. কালাম , ইংরেজি, বাংলা ও আরবি তিন ভাষারই টাইপিং পদ্ধতি নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়েছি। বাংলা টাইপিং টিউটোরিয়াল: https://youtu.be/

সমাস শিখতে এখন আর ছয় মাস লাগেনা

সমাসের কাজ হলো একাধিক পদকে এক পদে পরিণত করা। সমাস শব্দের অর্থ হচ্ছে সংক্ষেপন বা লম্বা একটা বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করে এক শব্দে প্রকাশ করা। যেমন: শোক প্রকাশের সভা > শোকসভা। এখানে শোকসভাই হলো মূলত সমাস। আর শোক প্রকাশের সভা হলো সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্য। আমরা জানি বাক্যের অন্তরগত প্রত্যেকটি শব্দকে পদ বলে আর সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্যের প্রত্যেকটি শব্দকে সমস্যমান পদ বলে। আর সমাসকে অর্থাৎ ব্যাস বাক্য থেকে সংক্ষিপ্ত হওয়া পদটিকে বলে সমস্ত পদ। সমাজ ছয় প্রকার: আমার জনৈক বন্ধু সমাসের ছয় প্রকার কোন ভাবেই মনে রাখতে পারতো না। সে বলতো দিক অত বদদোয়া তবু আমি সমাসের ছয় প্রকার মনে রাখতে পারবনা। কিন্তু দিক অত বদদোয়া র মাঝেই সমাসের ছয় প্রকার রয়েছে।  দি = দ্বিগু ক = কর্মধারয় অ = অভ্যয়ীভাব ত = তৎপুরুষ ব = বহুব্রীহি দ = দ্বন্দ্ব প্রথমে আমরা কর্মধারয় সমাস নিয়ে বিস্তারিত শিখব। যে সমস্থ সমাসে আমরা কোন কিছুর সাথে তুলনা করি (বাস্তব, অবাস্তব বা রূপক) সেটিই কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় সমাস ৩ (তিন) প্রকার। উপমান  উপমিত রূপক উপমান শব্দের মাঝে আছে (উপমা), যেই উপমা সত্য