প্রখ্যাত বুযুর্গানে দ্বীন ও খ্যাতি সম্পন্ন মুফাস্সিরে কোরআন আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী হুজুরকে দিয়ে এই সংগঠনের উদ্বোধন। 1987 থেকে এই সংগঠন দ্বীন প্রচার ও সমাজ উন্নয়নে প্রচুর ভূমিকা রেখে আসছে। এই সংগঠনকে সমাজের তৃণমূলের সংগঠন হিসাবে দাবি করা হলেও তৃণমূল তো দূরে থাক, সংগঠনের কার্যকরী পরিষদেরও বস্তুত কোন ফলপ্রসূ ক্ষমতা ছিল না। সংগঠনের শুরু থেকে আজ অবধি বিভিন্ন সময় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলা হলেও একজনের হাতে সমস্ত ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ, অগুরুত্বপূর্ণ এমনকি সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধনেও যথেষ্ট স্বেচ্ছাচারিতা প্রদর্শন করা হয়েছে। দাপ্তরিকভাবে সকলের মতামত ও কার্যকরী পরিষদের সামগ্রিক সিদ্ধান্তে কাজ বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার কথা বলা হলেও একজনের একক সিদ্ধান্তে ও কলাকৌশলে এই সংগঠন পরিচালিত হয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল বা বিভিন্ন সময়ে গঠিত কার্যকরী পরিষদরাও কোন সময় মনমতো জবাবদিহি আদায় করতে পারে নাই। বিভিন্ন সময় গঠিত কার্যকরী পরিষদরা নিজেদের কাছে সমস্ত কাগজপত্র এমনকি সমস্ত আর্থিক লেনদেনের হিসাব ও সঞ্চিত অর্থের যৌক্তিক হস্তান্তর দাবি করলেও তা মানা হয়নি। পছন্দসই ব্যক্তিকে বসানো হয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে এবং স্থায়ী কমিটি নামক ফাঁদ বসিয়ে যাকে ইচ্ছে তাকে এই স্থায়ী কমিটিতে একক ও গোপন সিদ্ধান্তে রদবদল করা হয়েছে। এই স্থায়ী কমিটির সিংহভাগ সম্মানিত সদস্যরাও বুঝিয়েছেন আর্থিক স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য কিন্তু কেউ একজন নাছোড়বান্দা। এই সংগঠনের যাত্রা যাদের হাত ধরে হয়েছিল তাদের অনেকেই আজকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। কারণ একটাই, একজনের একক সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচারিতা প্রদর্শন। কোন কোন সময় তিনি নিজেই স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে মতের অমিল হলে সংগঠন থেকে বের হয়ে একই ধরনের কাটছাঁট নামে আলাদা স্বতন্ত্র সংগঠন তৈরি করেছেন ও কোমলমতি শিশু কিশোরদের ব্যবহার করে নিজের স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে গেছেন। যাইহোক, এহেন আচরণে নিম্নোক্ত তালিকাভুক্ত (ছবি সংযুক্ত) বর্তমান কার্যকরী পরিষদের (পাশে টিক চিহ্ন দেওয়া) সদস্যরাসহ আমরা প্রায় 50 থেকে 60 জন সদস্য আলহেরা ইসলামী পাঠাগার থেকে পদত্যাগ করে আলোর দিশারী একতা পরিষদ নামে নতুন সংগঠনের যাত্রা শুরু করি। আল্লাহ আমাদের সকলের (আল হেরা ইসলামি পাঠাগার ও আলোর দিশারী একতা পরিষদ) কার্যক্রমকে কবুল ও মঞ্জুর করুক, আমিন।
কম্পিউটারে আরবি লিখন পদ্ধতি ও কিছু কথা (قَاعِدَةُ كِتَابَةِ الُّغَةِ العَرَبِيِّ فِي كَمْبِيُوتَرَ واقْوَالِهَا)
যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো ভাষা। পৃথিবীতে প্রায় ৭০০০-এরও অধিক ভাষা (اللُّغَةُ) প্রচলিত রয়েছে। এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীরা তাদের ভাব বিনিময় করে। তবে পৃথিবীর সব মানুষই তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এ জন্যই কবি রামনিধি গুপ্ত বলেছেন- “নানান দেশের নানা ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা?” এরপরও বৈশ্বিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানুষকে বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করতে হয়। ইংরেজি ও আরবি তার মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া মুখাভিনয়ের মাধ্যমেও মানুষ গ্লোবালি কমিউনিকেট করতে পারে। মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় জ্ঞান আহরণে আরবি ভাষা শিখাটা খুবই জরুরি। কুরআন ও হাদিসের প্রকৃত মর্মবাণী উপলব্ধি করতে হলে আরবি ভাষা জানার বিকল্প নেই। আধুনিক শিক্ষার অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার কম্পিউটার। কম্পিউটারের একেবারে প্রাথমিক ও মৌলিক স্কিল হচ্ছে টাইপিং। কম্পিউটার টাইপিং-এর সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো ফলো করলে খুব সহজে পৃথিবীর যে কোন ভাষা টাইপ করা যায়। আমি সাইফুল বিন আ. কালাম , ইংরেজি, বাংলা ও আরবি তিন ভাষারই টাইপিং পদ্ধতি নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়েছি। বাংলা টাইপিং টিউটোরিয়াল: https://youtu.be/
Comments
Post a Comment