Skip to main content

ইদ 2020 ও হিংসুকের হিংসার শিকার

আরেকটা দিন, তারপরেইতো নতুন চাঁদ, ইদের নামাজ ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা বিনিময় এবং হরেক রকম খাবার-দাবারের আয়োজন।

করোনা পরিস্থিতিতে এখন প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার সংক্রমণ ছুঁয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে হয়তো এবারের ইদের নামাজ ইদগাহে বা মসজিদে গিয়ে পড়া হবে না, করা হবেনা কারো সাথে কোলাকুলি বা ন্যূনতম হ্যান্ডশেক করে শুভেচ্ছা বিনিময়। যাওয়া হবে না তোমাদের বাড়ি বাড়ি, আমার বাড়িতেও তোমাদেরকে ওয়েলকাম করা হচ্ছে না।

বাস্তবতার সোজা পথে চলতে গিয়ে বছরজুড়ে ছোট-বড়, ভালো-খারাপ কিছু মানুষের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন পরে, এগুলোকে গুছিয়ে দিতে ইদ একটি বড় মাধ্যম। ইদের নামাজের পরে সব রকমের বন্ধু-শত্রু যাদের সাথে বছরজুড়ে মনোমালিন্য হয়েছে, সবার সাথে কোলাকুলি, সম্ভাষণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এবছর সেটি আর হয়ে উঠলো না। তবু তোমাদের সবার প্রতি আমার রইল সশ্রদ্ধ ভালোবাসা ও আন্তরিক অভিবাদন।

বছর দশেক ধরে দীর্ঘ সময় নিজ গ্রামে বা বাড়িতে থাকা হয় না। বিশ্ব মহামারির এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন নিজ এলাকায় থেকে ভিলেজ পলিটিক্স বা গ্রাম্য রাজনীতির রোষানলে পড়ে কিছু মানুষের চক্ষুশূল বা হিংসার কারণ হিসাবে উপস্থাপিত হয়েছি। যদিও তোমাদেরকে কখনও আমি অন্তর থেকে ঘৃণা করতে পারিনি বা কখনো পারবও না। অনেক সময় আমার স্টেটমেন্ট তোমাদের বিরুদ্ধে গেছে বা যাবে, সেটা নিতান্ত অন্যায়ের সাথে আপোষ না করার কারণে।

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রিয় হতে গিয়ে অনেক সময় তোমাদের অপ্রিয় ও গালির বস্তুতে পরিণত হয়েছি। গালি দাও, আরো অনেক গালি দাও, আরো অনেক লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সবিই দাও, প্রয়োজনে রক্তাক্ত করো, তবু সত্য ও ন্যায়ের পথ থেকে এক পাও বিচ্যুত হব না ইনশাআল্লাহ। আমিও আশাবাদী, তোমরাও হয়তো কোন একদিন সত্য সহজ-সরল পথের যাত্রী হবে। সেদিন আমরা সবাই বন্ধু হয়ে একই সাথে আমার আল্লাহর জান্নাতে আরাম আয়েশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

সামাজিক দূরত্ব মানুন, ঘরে থাকুন।
সবাইকে ইদ মোবারক ২০২০!

সাইফুল বিন আ কালাম (রুবেল)
বারদোনা সিকদার পাড়া, সাতকানিয়া চট্টগ্রাম।
কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, তথ্য আপা প্রকল্প, জাতীয় মহিলা সংস্থা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা।

Comments

Popular posts from this blog

কম্পিউটারে আরবি লিখন পদ্ধতি ও কিছু কথা (قَاعِدَةُ كِتَابَةِ الُّغَةِ العَرَبِيِّ فِي كَمْبِيُوتَرَ واقْوَالِهَا)

যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম  হলো ভাষা। পৃথিবীতে প্রায় ৭০০০-এরও অধিক ভাষা  (اللُّغَةُ) প্রচলিত রয়েছে। এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীরা তাদের ভাব বিনিময় করে। তবে পৃথিবীর সব মানুষই তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এ জন্যই কবি রামনিধি গুপ্ত বলেছেন-  “নানান দেশের নানা ভাষা  বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা?”   এরপরও বৈশ্বিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানুষকে বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করতে হয়।  ইংরেজি ও আরবি তার মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া মুখাভিনয়ের মাধ্যমেও মানুষ গ্লোবালি কমিউনিকেট করতে পারে। মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় জ্ঞান আহরণে আরবি ভাষা শিখাটা খুবই জরুরি। কুরআন ও হাদিসের প্রকৃত মর্মবাণী উপলব্ধি করতে হলে আরবি ভাষা জানার বিকল্প নেই। আধুনিক শিক্ষার অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার কম্পিউটার। কম্পিউটারের একেবারে প্রাথমিক ও মৌলিক স্কিল হচ্ছে টাইপিং। কম্পিউটার টাইপিং-এর সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো ফলো করলে খুব সহজে পৃথিবীর যে কোন ভাষা টাইপ করা যায়। আমি সাইফুল বিন আ. কালাম , ইংরেজি, বাংলা ও আরবি তিন ভাষারই টাইপিং পদ্ধতি নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়েছি। বাংলা টাইপিং টিউটোরিয়াল: https://youtu.be/

শিখুন ম্যাগাজিন ও বইয়ের প্লেট / সিটিপি সেটিং (জুরি)

একটি অ্যাড ফার্মে কাজ করতাম বছর তিনেক আগে। বই ও ম্যাগাজিনের অনেক কা জ করেছি। নির্দিষ্ট সাইজ নিয়ে .৭৫ ইন্সি অপসেট পাথ রেখে পেজকে কাজ অনুযায়ী দু কলাম তিন কলামে ভাগ করে লিংক করে কাজ করাটাই ডিজাইন। প্রতি ৮ পেজে ফর্মা হিসেব করে কাজ করতাম। কিন্তু বিপত্তিটা হতো আউটপুট সেটিং দিতে গিয়ে। শাফুল দা পেছনে বসে ডিরেকশন দিতো, আর আমি সেটিং দিতাম। ভাল করে বুঝতাম না। উনিও অত ইজি করে বোঝান নি। আমিও শেখার খুব আগ্রহ দেখাইনি কারণ সময়মত শাফুল দাকে তো পাচ্ছিই; তাহলে শুধু শুধু এত প্রেশার নিয়ে লাভ কী! কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাত্র বুঝবেন আউটপুট সেটিং যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যতই ডিজাইন জানেন, প্রিন্টিং আউটপুট সেটিং যদি না বুঝেন, আপনাকে সঠিক মূল্যায়ন করা হবে না। ভাল প্রতিষ্ঠানে গেলেই প্রথম প্রশ্ন আউটপুট ছাড়তে পারবেন কি না? আউটপুট সেটিং ডিজাইনের প্রাণ। অবশ্য যারা শুধুই ফ্রিল্যান্সিং করেন, লোকাল কোম্পেনিতে কাজ করেন না, তাদের ক্ষেত্রে এটা না জানলেও তেমন সমস্যা হবে না। তবে এ শিল্পে পেশাদার হতে হলে অবশ্যই প্রিন্ট আউটপুট সেটিং জানতে হবে। এরপর গুগল ও ইউটিউবে অনেক সার্চ করেও ভাল প্রিন্ট আউটপুট সেটিং-এর

সমাস শিখতে এখন আর ছয় মাস লাগেনা

সমাসের কাজ হলো একাধিক পদকে এক পদে পরিণত করা। সমাস শব্দের অর্থ হচ্ছে সংক্ষেপন বা লম্বা একটা বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করে এক শব্দে প্রকাশ করা। যেমন: শোক প্রকাশের সভা > শোকসভা। এখানে শোকসভাই হলো মূলত সমাস। আর শোক প্রকাশের সভা হলো সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্য। আমরা জানি বাক্যের অন্তরগত প্রত্যেকটি শব্দকে পদ বলে আর সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্যের প্রত্যেকটি শব্দকে সমস্যমান পদ বলে। আর সমাসকে অর্থাৎ ব্যাস বাক্য থেকে সংক্ষিপ্ত হওয়া পদটিকে বলে সমস্ত পদ। সমাজ ছয় প্রকার: আমার জনৈক বন্ধু সমাসের ছয় প্রকার কোন ভাবেই মনে রাখতে পারতো না। সে বলতো দিক অত বদদোয়া তবু আমি সমাসের ছয় প্রকার মনে রাখতে পারবনা। কিন্তু দিক অত বদদোয়া র মাঝেই সমাসের ছয় প্রকার রয়েছে।  দি = দ্বিগু ক = কর্মধারয় অ = অভ্যয়ীভাব ত = তৎপুরুষ ব = বহুব্রীহি দ = দ্বন্দ্ব প্রথমে আমরা কর্মধারয় সমাস নিয়ে বিস্তারিত শিখব। যে সমস্থ সমাসে আমরা কোন কিছুর সাথে তুলনা করি (বাস্তব, অবাস্তব বা রূপক) সেটিই কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় সমাস ৩ (তিন) প্রকার। উপমান  উপমিত রূপক উপমান শব্দের মাঝে আছে (উপমা), যেই উপমা সত্য