Skip to main content

কথা বলুন ইংরেজিতে

ভাষা শিখতে হয় না, ব্যবহার করতে হয়। যে ভাষা যতবেশি ব্যবহার করবেন, সে ভাষা ততবেশি শিখবেন ও বলতে-লিখতে পারবেন। বাংলাভাষীরা কি বাংলা শিখেছে কখনো? না, তারা ছোটবেলা থেকে এ ভাষা নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছে। তাই তারা বাংলা লিখতে ও বলতে পারে। ভাষার মূল উপাদান হলো তার শব্দভাণ্ডার। প্রতিটি ভাষাতে লক্ষ-কোটি শব্দ-প্রতিশব্দ থাকতে পারে। সব শব্দ সবসময় ব্যবহার হয় না এবং শিখাটাও সম্ভব না। ভাষার প্রয়োজনীয় শব্দগুলো মুখস্থ করতেই হবে এবং পরবর্তীতে শব্দগুলো দিয়ে বাক্য তৈরি করে ভাষার প্রয়োগ করতে হবে। ইংরেজি একটি বিদেশি ভাষা। এ ভাষা পৃথিবীর অন্যতম একটি সহজ ভাষা। তারপরেও আমরা সারা জীবন ইংরেজি শিখেও দুলাইন বলতে বা লিখতে পারি না। এর জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। কারণ আমরা যতটুকু শিখি তার সোয়া আনাও ব্যবহার করি না। ব্যবহার করতে গেলেই পাছে লোকে কিছু বলে মনে করে আর ব্যবহার করি না। https://youtu.be/CTMsPvDV_jY প্রথমে ভিডিওটি মনোযোগ সহকারে দেখে নিন। ভিডিওর কথাগুলো হুবুহু ফলো করার চেষ্টা করুন। এটা আমার (সাইফুল বিন আ. কালামের) নিজের জীবনের প্রায়োগিক সত্য। আমি যেভাবে ইংরেজি ভাষা আয়্ত্ত করেছি এখানে তার হুবুহু বলেছি। ইংরেজিতে কথা বলার ও লিখার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস নিচে দেওয়া হলো। ১.. প্রতিদিন ২০টি নতুন শব্দ শিখবেন বানানসহ। পরের দিন নতুন ২০টি শিখার পরে আগের ২০টি আবার রিভিউ দিন। এভাবে প্রতিদিন আগের ৪০টি, ৬০টি, ৮০টি রিভিউ করতে থাকুন। এভাবে চলতে থাকবে দীর্ঘ দিন। ভোকাবুলারি শিখার জন্য বাজারের যে কোন একটি সস্তা বই কিনে নিন। সবচেয়ে সহজ শব্দগুলো আগে শিখুন। শব্দার্থগুলো একটা ছোট কাগজে লিখে পকেটে রাখুন। হাঁটা-চলার সবসময় পকেট থেকে বের করে দেখতে থাকুন আর মনে মনে মুখস্থ করুন। ড. মুহাম্মদ ফজলুর রহমানের ””’’"তিন ভাষার পকেট অভিধান " বইটি সবসময় নিজের সাথে রাখতে পারেন। বইটি পকেট সাইজের হওয়াই বহন করতে অনেক সুবিধা। ২.. রাফ কাগজের শব্দগুলো আবার গুছিয়ে একটা নতুন ফেয়ার খাতায় তুলে রাখুন ও প্রতিদিন এতে দুএকবার চোখ বুলান। এতে করে শব্দগুলো মনের স্থায়ী ROM-এ গেঁথে যাবে। ৩.. ইংলিশ ভিডিও দেখুন ইংলিশ সাব-টাইটেলসহ। ইউটিউবে সাব-টাইটেলসহ প্রচুর ইংরেজি, বাংলা ও হিন্দি ভিডিও আছে। ইংরেজি ছাড়াও অন্যান্য ভাষার ভিডিও দেখতে পারেন তবে সাব-টাইটেল হতে হবে সবসময় ইংরেজিতে। ভিডিও দেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লিসেনিং পাওয়ার দ্রুত বাড়ে। ফলে আপনি সহজেই ফেস-টু-ফেস ফরেনারদের সাথে কথা বলতে পারবেন। ইউটিউবে সার্চ করুন English speech for learning কি-ওয়ার্ড দিয়ে। তাহলে বারাক ওবামা, ট্রাম্প ও বিলগেটসসহ অন্যান্য ফেমাস ব্যক্তিদের বক্তব্য পাবেন সাব-টাইটেলসহ যা ইংরেজি ভাষা অর্জনে খুবই সহায়ক হবে। এছাড়াও কিছু ইংলিশ মুভি দেখতে পারেন। মুভি দেখার মাধ্যমে বিনোদনের পাশাপাশি ভাষার দক্ষতাও অর্জন করা যায়। তবে ইংলিশ সাব-টাইটেল থাকলে ভাল হয়। ইউটিউবে "english movie for kids with subtitles" দিয়ে সার্চ দিলে ভালো কিছু মুভির লিংক পাবেন। ৪.. ফেইসবুক বা হুয়াট্সআপে চ্যাট করার সময় ইংরেজিতে চ্যাট করুন। এসব সোশাল মিডিয়াতে অনেক সময় নিয়ে ভেবে চিন্তে চ্যাট করা যায়। তাই ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম। কোন শব্দার্থ বা বানান দেখতে হলে তো Google Translator আছেই। অথবা মোবাইল ডিকশনারি ব্যবহার করুন। ৫.. বন্ধুদের নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন নির্দিষ্ট স্থানে বসে সবাই মিলে ইংরেজিতে আড্ডা দিন। ভুল-বাল যার যেমন ইচ্ছে বলুন। তাছাড়াও ফেইসবুক, ইমু ও স্কাইফিতে গ্রুফ ভিডিও কল দিয়ে ভার্চুয়ালি আড্ডা দিতে পারেন। চ্যাট গ্রুপও খুলতে পারেন। ৬.. সময়, সুযোগ ও পরিস্থিতি হলে সবার সাথে ইংরেজিতে কমিউনিকেশন করুন। ধরেন তিন-চার জন বন্ধু মিলে এমনিতেই আড্ডা দিচ্ছেন। এ সময় হুট করে প্রস্তাব করবেন, চল আমরা আড্ডাটি ইংরেজিতেই দিই। এভাবে প্রতিনিয়ত ইংরেজিকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করুন। ৭.. পৃথিবীর যেকোনো জায়গাই ইংরেজিতে কথা বলতে লজ্জা করবেন না। লজ্জা আপনার জ্ঞানের অর্ধেক খেয়ে ফেলবে। জনৈক বয়স্ক লোক সর্দির জন্য হাসপাতালে গিয়েছে ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তার সব দেখে ৫ হাজার টাকার ব্লাড টেস্ট দিল। বয়স্ক লোক বলল; I can't guess, What kind of treatement it is! It is a silly disease! You simply can suggest me some madicine. ডাক্তার বলল; বাংলায় বলুন। বয়স্ক লোক আবার বলল; I have learned English for use it. If I can't use it in proper place, I will forget it. So please you speak in English. ৮.. কথা বলার সময় গ্রামার দিকে বেশি নজর দেওয়ার দরকার নেই। গ্রামার শুধু লেখার জন্য। বলার গ্রামার হচ্ছে অন্যকে বুঝানো। আপনি যেটা বলতে চাচ্ছেন সেটা অন্য জন বুঝতে পারলেই আপনার গ্রামার হয়ে গেছে। বলার সময় যতই গ্রামার ফলো করতে যাবেন, ততই মুখের জড়তা বেড়ে যাবে। কথা বলার উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলবেন। একটা শিশু যদি হাঁটার সময় ভাবতো; আমি পড়ে গেলে মানুষ হাসবে বা লোকে কি বলবে, তাহলে ঐ শিশু জীবনেও হাঁটতে পারতো না। ৮.. নেগেটিভ মাইন্ডের লোকগুলো থেকে সবসময় দূরে থাকুন। এ ধরণের মানুষগুলো আপনার চেষ্টা ও উদ্দীপনা অঙ্কুরেই ভেঙে দিবে। কথায় কথায় ভুল ধরবে। এটা ভুল, ওটা ভুল। এরকম বললে মানুষে হাসবে। লোকে কি বলবে ইত্যাদি। এদের কথা শুনেও না শুনার ভান করে বা লা-পাত্তা করে এড়িয়ে যান। ৯.. আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে ইংরেজিতে কথা বলুন। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দিন। এভাবে প্র্যাকটিস করলে মুখের জড়তা কেটে যাবে। ১০.. কিছু ব্যাসিক গ্রামার আয়ত্ত করে ফেলুন। যেমন: টেন্স, সেনটেন্স, নাম্বার, পারসন ইত্যাদি। একটি বাক্য তৈরি করার জন্য দুটি বিষয়ের প্রতি বেশি নজর দিতে হবে। যেমন: Subject ও Verb। প্রথমে Subject দিয়ে বাক্য শুরু হবে যেমন; I, You, We, He, They ইত্যাদি তারপর Tense অনুসারে Verb বসবে। এইতো হয়ে গেল ইংরেজি বাক্য। ১১.. খুবই সহজ-সরল ভাষায় লিখিত কিছু ইংরেজি গল্পের বই পড়বেন। গল্পগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। গল্পের মধ্যে যেসব শব্দের অর্থ জানেন না তার নিচে আন্ডার-লাইন করুন। শব্দগুলোর অর্থ ডিকশনারি দেখে খুঁজে বের করুন। এ ধরণের গল্পের বই পড়লে ভোকাবুলারি ও গ্রামার দুটিই শিখা যায়। উপরোক্ত বিষয়গুলো ভালোমতো ফলো করলে যে কেউ অল্প দিনেই ইংরেজি বলতে ও লিখতে পারবে।

Comments

Popular posts from this blog

কম্পিউটারে আরবি লিখন পদ্ধতি ও কিছু কথা (قَاعِدَةُ كِتَابَةِ الُّغَةِ العَرَبِيِّ فِي كَمْبِيُوتَرَ واقْوَالِهَا)

যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম  হলো ভাষা। পৃথিবীতে প্রায় ৭০০০-এরও অধিক ভাষা  (اللُّغَةُ) প্রচলিত রয়েছে। এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীরা তাদের ভাব বিনিময় করে। তবে পৃথিবীর সব মানুষই তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এ জন্যই কবি রামনিধি গুপ্ত বলেছেন-  “নানান দেশের নানা ভাষা  বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা?”   এরপরও বৈশ্বিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানুষকে বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করতে হয়।  ইংরেজি ও আরবি তার মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া মুখাভিনয়ের মাধ্যমেও মানুষ গ্লোবালি কমিউনিকেট করতে পারে। মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় জ্ঞান আহরণে আরবি ভাষা শিখাটা খুবই জরুরি। কুরআন ও হাদিসের প্রকৃত মর্মবাণী উপলব্ধি করতে হলে আরবি ভাষা জানার বিকল্প নেই। আধুনিক শিক্ষার অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার কম্পিউটার। কম্পিউটারের একেবারে প্রাথমিক ও মৌলিক স্কিল হচ্ছে টাইপিং। কম্পিউটার টাইপিং-এর সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো ফলো করলে খুব সহজে পৃথিবীর যে কোন ভাষা টাইপ করা যায়। আমি সাইফুল বিন আ. কালাম , ইংরেজি, বাংলা ও আরবি তিন ভাষারই টাইপিং পদ্ধতি নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়েছি। বাংলা টাইপিং টিউটোরিয়াল: https://youtu.be/

শিখুন ম্যাগাজিন ও বইয়ের প্লেট / সিটিপি সেটিং (জুরি)

একটি অ্যাড ফার্মে কাজ করতাম বছর তিনেক আগে। বই ও ম্যাগাজিনের অনেক কা জ করেছি। নির্দিষ্ট সাইজ নিয়ে .৭৫ ইন্সি অপসেট পাথ রেখে পেজকে কাজ অনুযায়ী দু কলাম তিন কলামে ভাগ করে লিংক করে কাজ করাটাই ডিজাইন। প্রতি ৮ পেজে ফর্মা হিসেব করে কাজ করতাম। কিন্তু বিপত্তিটা হতো আউটপুট সেটিং দিতে গিয়ে। শাফুল দা পেছনে বসে ডিরেকশন দিতো, আর আমি সেটিং দিতাম। ভাল করে বুঝতাম না। উনিও অত ইজি করে বোঝান নি। আমিও শেখার খুব আগ্রহ দেখাইনি কারণ সময়মত শাফুল দাকে তো পাচ্ছিই; তাহলে শুধু শুধু এত প্রেশার নিয়ে লাভ কী! কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাত্র বুঝবেন আউটপুট সেটিং যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যতই ডিজাইন জানেন, প্রিন্টিং আউটপুট সেটিং যদি না বুঝেন, আপনাকে সঠিক মূল্যায়ন করা হবে না। ভাল প্রতিষ্ঠানে গেলেই প্রথম প্রশ্ন আউটপুট ছাড়তে পারবেন কি না? আউটপুট সেটিং ডিজাইনের প্রাণ। অবশ্য যারা শুধুই ফ্রিল্যান্সিং করেন, লোকাল কোম্পেনিতে কাজ করেন না, তাদের ক্ষেত্রে এটা না জানলেও তেমন সমস্যা হবে না। তবে এ শিল্পে পেশাদার হতে হলে অবশ্যই প্রিন্ট আউটপুট সেটিং জানতে হবে। এরপর গুগল ও ইউটিউবে অনেক সার্চ করেও ভাল প্রিন্ট আউটপুট সেটিং-এর

সমাস শিখতে এখন আর ছয় মাস লাগেনা

সমাসের কাজ হলো একাধিক পদকে এক পদে পরিণত করা। সমাস শব্দের অর্থ হচ্ছে সংক্ষেপন বা লম্বা একটা বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করে এক শব্দে প্রকাশ করা। যেমন: শোক প্রকাশের সভা > শোকসভা। এখানে শোকসভাই হলো মূলত সমাস। আর শোক প্রকাশের সভা হলো সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্য। আমরা জানি বাক্যের অন্তরগত প্রত্যেকটি শব্দকে পদ বলে আর সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্যের প্রত্যেকটি শব্দকে সমস্যমান পদ বলে। আর সমাসকে অর্থাৎ ব্যাস বাক্য থেকে সংক্ষিপ্ত হওয়া পদটিকে বলে সমস্ত পদ। সমাজ ছয় প্রকার: আমার জনৈক বন্ধু সমাসের ছয় প্রকার কোন ভাবেই মনে রাখতে পারতো না। সে বলতো দিক অত বদদোয়া তবু আমি সমাসের ছয় প্রকার মনে রাখতে পারবনা। কিন্তু দিক অত বদদোয়া র মাঝেই সমাসের ছয় প্রকার রয়েছে।  দি = দ্বিগু ক = কর্মধারয় অ = অভ্যয়ীভাব ত = তৎপুরুষ ব = বহুব্রীহি দ = দ্বন্দ্ব প্রথমে আমরা কর্মধারয় সমাস নিয়ে বিস্তারিত শিখব। যে সমস্থ সমাসে আমরা কোন কিছুর সাথে তুলনা করি (বাস্তব, অবাস্তব বা রূপক) সেটিই কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় সমাস ৩ (তিন) প্রকার। উপমান  উপমিত রূপক উপমান শব্দের মাঝে আছে (উপমা), যেই উপমা সত্য