Skip to main content

ইউটিউবের মাধ্যমে নিশ্চিত আয়! সাইফুল বিন আ. কালামের ইউটিউবিং গল্প!

মানুষ নিজের বেড়ে ওঠার প্রতিটি মুহূর্তে আয়-রোজগারের চেষ্টা করেন। এমনকি মৃত্যুর দোয়ারে দাঁড়িয়েও টাকা-পয়সার অঙ্ক কষেন। একজন সাধারণ মানুষ যে কোন পন্থায় আয়-রোজগারের কথা ভাবতে পারেন। কিন্তু একজন মুসলিম সবসময় হালাল রোজগারের কথায় ভাবেন। কারণ হালাল রুজি ইবাদত কবুল হওয়ার প্রথম শর্ত। সৎ ও ন্যায়ের পথে থেকে আয়-রোজগারের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ইউটিউবিং, আর আজকের গল্প শুধুই ইউটিউব নিয়ে। শুরু করেছিলাম ৫ই সেপ্টেম্বর ২০১৫ সাল। তখন একটি অ্যাড মিডিয়াতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতাম। আপ-ওয়ার্কেও ফ্রিল্যান্সিং করতাম ওয়েব ডিজাইন নিয়ে।পড়ালেখা ছিল স্নাতক পর্যায়ে। অনেক চড়ায়-ওতরায় পার হয়ে এই কাজগুলো (গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন) শিখতে হয়েছিল। কিছু কাজ শিখেছিলাম ঢাকাতে, পরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারে মেলা টাকা খরচ করেও কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। ম্যাক্সিমাম অল্প জানা লোকরাই ট্রেনিং সেন্টার খুলে বসেছিল বা ট্রেনিং দিচ্ছিল। পরে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে অ্যাডভানস কাজগুলো শিখতে থাকি। ইউটিউবে ইংরেজিতে ভাল মানের অনেক টিউটোরিয়াল থাকলেও বাংলাতে তেমন ভাল ভিডিও ছিল না বা থাকলেও অনেক কম। এভাবে কাজ শিখলাম প্রায় বছর তিনেক। পরে বিভিন্ন মার্কেট-প্লেসে ও দেশীয় কোম্পানিগুলোতে অনেকদিন জব করলাম। যখন নিজের মধ্যে মোটামুটি মেসিউরিটি আসল, এবার ভাবলাম নিজে কিছু ভাল কন্টেন্ট তৈরি করলে হয়ত অনেকের উপকারে আসবে। পাশাপাশি ইউটিউবে অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে নিজেরও একটা অতিরিক্ত আয়ের পথ বের হবে। ওয়ারেন বাফেটের উক্তিটি অনেকেই জানেন “কখনোই সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন না”। অর্থাৎ একটি আয়ের উৎসের উপর ভরসা করে বসে থাকলেই বিপদ! প্রথমে আয়ের কথা বাদ দিয়ে শুধু নিজের আত্মতৃপ্তির জন্য ভিডিও বানানো শুরু করলাম। ওয়েব ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল। তখন ভিডিও এডিটিং জানতাম না। Debut অ্যাপ দিয়ে (স্ক্রিন রেকর্ডার) স্ক্রিন রেকর্ড করে টিউটোরিয়াল বানিয়ে কোন প্রকার এডিটিং ছাড়াই ইউটিউবে আপলোড করতাম। ভিউ হত খুবই অল্প। আয়ের তো প্রশ্নই আসে না। বছর খানেক এভাবেই চলতে লাগল। সময় পেলেই বিভিন্ন ভিডিও বানাতাম। শুধুই টিউটোরিয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলাম না, যেখানে যেতাম সুযোগ হলেই মোবাইলে বিভিন্ন ভিডিও ধারণ করতাম এবং কোন প্রকার এডিটিং ছাড়াই ইউটিউবে আপলোড করতাম। যেহেতু সেসময় ভিডিও এডিটিং জানতাম না। বছর দেড়েক পর, নিজের চিন্তাকে আরো প্রসারিত করলাম। ভাবতে লাগলাম মানুষ আসলে কী চাই। আমি নিজেই বা নেটে বসলে ইউটিউবে কোন ধরণের কন্টেন্ট সার্চ করি। বাংলা বানান ও বিসিএসের প্রস্তুতিমূলক কিছু ভিডিও বানালাম যা মোটামুটি ভাল ভিউ পেয়েছিল। যেহেতু নিজেই বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তাই একডালে দুই পাখি শিকার। এরপর আরো কিছু ছোট ছোট নাটিকা তৈরি করলাম যেখানে নিজে ও বন্ধুদেরকে অভিনয় করিয়েছিলাম। নাটিকাগুলো পরবর্তীতে প্রচুর ভিউ হয়েছিল। ইউটিউব আসলে বিশাল ক্ষেত্র যেখানে আপনি টিউটোরিয়াল, ফান ভিডিও, ট্রাভেল ভিডিও, তথ্য ও গবেষণামূলক ভিডিও, খাবার রেসিপির ভিডিওসহ বহু ধরণের প্লাটফর্মে কাজ করতে পারেন। যেটাই করবেন একটু বেটারভাবে করতে পারলে ভিউ পাবেন, আয়ও হবে। হঠাৎ দেখলাম ইউটিউব থেকে আমার আয় হচ্ছে প্রতিমাসে ২ ডলার। আমি ভাবলাম এভাবেই হয়ত যাবে আরো অনেকদিন। কিন্তু না, প্রতিমাসে আমার আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৪, ৬, ১০, ১৫, ২০, ২৫ এরকম। কিছু কিছু ভিডিওতে ৫০ হাজারেরও অধিক ভিউ হয়েছে। যেখানে প্রথম দিকে ১ হাজার ভিউ পাওয়া মানে অনেক বড় কিছু ছিল। বর্তমানে আমার সর্বোচ্চ ভিউ একটি ভিডিওতে ৭০ হাজারেরও উপরে। সব ভিডিও মিলে প্রায় ৪ লাক। সাবস্ক্রইবারও প্রতিদিন ১০ / ১৫ করে বাড়তেছে যা বর্তমানে ৪ হাজারেরও অধিক। ইউটিউবে ১০ ডলার পূর্ণ হলেই অ্যাডসেন্সে প্রদত্ত ঠিকানাতে ডাকযোগে একটি পিন লেটার পাটায়। যেটার মাধ্যমে এড্রেস ভেরিফিকেশন করা হয়। আমাকে তিন তিন বার পাটিয়েও হাতে পায় নি। ৪র্থ বার তাদেরকে আমার ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট স্ক্যান করে পাঠালাম। পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেখি ভেরিফাইড হয়ে গেল। তারপর আমার ইসলামি ব্যাংকের সুইফ্ড কোড ও ১৭ ডিজিটের অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যোগ করলাম। পরের দিন অ্যাডসেন্স থেকে আরো একটি মেইল আসল যে, তারা এখনো আমার এড্রেস ভেরিফিকেশন নিয়ে সন্দেহে আছে তাই আমার কাছে আরো কিছু অতিরিক্ত তথ্য চাইল যেমন আয়ের উৎস (ইউটিউব), আমার সম্পূর্ণ নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, জাতীয়তা, স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি । আমি সাথে সাথে রিপ্লে করলাম। আরো একদিন পরে তাদের সন্দেহ দূর হলো ও আমার পেমেন্ট ছেড়ে দিল। ১২৩ ডলারের পেমেন্ট। যদিও আমার অ্যাকাউন্টে ১৭৪ ডলারের মত জমা হয়েছিল। তাদের সিস্টেম হচ্ছে প্রতি ১০০ ডলার হলেই তারা অটো ব্যাংকে বা আপনার পছন্দের পেমেন্ট মেথডে টাকা পাটিয়ে দিবে। তিনদিন পরে..., রাতে আমার ইসলামি ব্যাংকের আই-ব্যাংকিং-এ লগইন করে দেখলাম পেমেন্ট চলে এসেছে। প্রায় ১০,০০০/- টকা। প্রতি ডলারে ৮০.৮৫ করে দিয়েছে। ইউটিউব থেকে প্রথম পেমেন্ট হাতে পেয়ে মনটা খুশিতে ভরে গেল। আরো দুদিন পর ইউটিউব থেকে একটা মেইল দিয়ে জানাল যে, তারা আমার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে। ততদিনে অবশ্য সব টাকা তুলে খরচ করে ফেলেছি। নতুন ইউটিউবারদের জন্য কিছু গাইডলাইন................., ফেইসবুকে একদিন স্ট্যাটাস দিলাম যে, কোন অ্যাপটি ইউটিউব ভিডিও এডিট করার জন্য পারফেক্ট। একজন জানাল, ক্যামতাসিয়া স্টুডিও-৯। সপ্টওয়ারটি কালেক্ট করলাম ও এর অপারেটিং ইউটিউবে ভিডিও দেখে শিখে নিলাম। সেই থেকে চলছে আরো অ্যাডভানস ভিডিও বানানো। এই অ্যাপটি সত্যিই অসাধারণ এবং শিখাটাও অনেক সহজ। ইচ্ছে মত ভিডিও কাটা ও জোড়া তালি দেওয়া যায়। সাউন্ড নয়েজ রিমুভ করা যায়। সাব-টাইটেল অ্যাড করা যায়। অনেক সুন্দর অ্যানিমেশন করা যায়। এবং আরো অনেক কিছু...... ভিডিও বানানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে অপ্রয়োজনীয় কোন কথা চলে না আসে। কারণ একই রকম কন্টেন্ট ইউটিউবে অনেক আছে। ভিউয়ার বিরক্তবোধ করলে সাথে সাথে সাজেস্ট ভিডিও থেকে সিমিলার অন্য লিংকে চলে যাবে। এডিট করার সময় ভিডিওর অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে দিতে হবে। প্রয়োজনে সাব-টাইটেল বসানো যেতে পারে। আর সাউন্ড হতে হবে নয়েজ মুক্ত। তবে প্রথম দিকে এতকিছু চিন্তা না করে হাতের কাছে যা আছে তাই নিয়ে কাজ শুরু করে দিন। নয়ত দেখবেন আপনি সব ইনস্ট্রোমেন্ট জোগাড় করতে করতে আপনার মত অন্য কেউ যা আছে তাই দিয়ে ২০০ ডলার আয় করে ফেলেছে। প্রথমে কোয়ালিটি খারাপ হবে জানি, তারপরেও শুরু করে দিন, আস্তে আস্তে কাজের কোয়লিটি বাড়ান। তবে সবসময় সৎভাবে কাজ করবেন। অসদোপায় অবলম্বন করলে আপনারই ক্ষতি হবে যা আরো পরে লিখতেছি। ভিডিওর শেষে একটি এন্ডিং যোগ করা যেতে পারে যেখানে কন্টেন্ট মেকার নিজে ভিউয়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাবস্ক্রাইব করতে বলবে। অনেকে অ্যানিমেটেড ভিডিও ইন্ট্রো দেয়, কিন্তু আমি এটি এড়িয়ে চলি। ভিডিওতে কথা বলার সময় শুদ্ধ উচ্চারণ ও সঠিক বডি ল্যাঙ্গুয়েজের প্রতি সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। বিশেষ করে উচ্চারণ অ-শুদ্ধ করলে নানান লোকে নানান কথা বলবে। আমি এক সময় শুদ্ধ উচ্চারণ কি জিনিস বুঝতামনা। আমার টিউটোরিয়াল শুনে আমার এক বড় ভাই নাম বিপ্লব কুমার পাল আমাকে শুদ্ধ উচ্চারণ করার পরামর্শ দিল ও অনেক কিছু শিখিয়ে দিল। সেই থেকে আজ অবধি শুদ্ধ উচ্চারণের অমোঘ প্র্যাকটিস চলছে। ভিডিও বানানো ও এডিটিং শেষে আরো কিছু লম্বা কাজ আছে। ভিডিওর কনসেপ্ট অনুযায়ী একটা ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। যা ভিডিও ডেসক্রিপশনে ও ফেইসবুকে এবং বিভিন্ন ব্লগে পোস্ট করা যেতে পারে। জনপ্রিয় ব্লগগুলোতে ভাল লেখা পোস্ট করে ভিডিও লিংক শেয়ার করলে সেখান থেকে প্রচুর ভিউয়ার ও সাবস্ক্রাইবার পাওয়া যায়। প্রথম দিকে চ্যানেল প্রমোশনের জন্য ব্লগ রাইটিং খুবই উপকারী। লেখাতে বানান ভুল যথাসম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। তাছাড়া নিজের ব্লগে পোস্ট করে সেখানেও অ্যাডসেন্স বসিয়ে ভালো আয় করা যায়। এক ঢিলে দুই পাখি! প্রথম দিকে ডোমেইন হোস্টিং কেনা না থাকলে ব্লগস্পটে (www.blogger.com) ফ্রিতে ব্লগিং করতে পারেন। এখানেও অ্যাডসেন্স এনাবল করে আয় করতে পারেন। এরপর ১২৮০px x ৭২০px সাইজের থাম্বনেইল তৈরি করতে হবে। একটা সুন্দর থাম্বনেইল আপনাকে এনে দিতে পারে হাজার হাজার ভিউয়ার। থাম্বনেইল যতই আকর্ষণীয় হবে ভিউয়ার ততই বৃদ্ধি পাবে। থাম্বনেইল হলো ভিউয়ার পাওয়ার মূল দরজা। ভিডিও টাইটেল হতে হবে আকর্ষণীয় ও কন্টেন্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। টাইটেলকে একটি বড় কি-ওয়ার্ডের সাথে তুলনা করা যায়। আপনার ভিডিওটি মানুষ যেভাবে সার্চ করতে পারে ঠিক সেভাবেই টাইটেলটি দিন। ভিডিও ভিউ পাওয়ার জন্য টাইটেল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, অনেক যাচাই বাছাই করে টাইটেল দিতে হবে। এবার ভিডিওটি আপলোড করে প্রাইভেট করে রাখতে হবে। ডেসক্রিপশন, টাইটেল, থাম্বনেইলসহ অন্যান্য সেটিংস ঠিক করে ভিডিও ট্যাগ দিতে হবে। ট্যাগ হচ্ছে কিছু কি-ওয়ার্ড। যেগুলো দিয়ে মানুষ সার্চ করবে। আপনার ভিডিওটি কি কি নাম দিয়ে সার্চ করলে সার্চ-রেজাল্টে আসা উচিত, সেই সব কি-ওয়ার্ডগুলো ট্যাগে দিয়ে দিবেন। মনে রাখবেন, ট্যাগ কখনো ভিডিও ডেসক্রিপশনে দিবেন না। তাহলে যেকোনো মুহূর্তে চ্যানেল টারমিনেট হয়ে যাবে। সব কিছু ঠিক আছে কিনা দশ বার চেক করে ভিডিওটি পাবলিক (পাবলিশ) করুন। ভিডিও মানিটাইজ করার জন্য ইউটিউবে সার্চ করুন, How to Monetize YouTube Channel . অল্প সময়ে বেশি টাকা ইনকাম করার চিন্তা করে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিলে যেমন: পর্ন ভিডিও বানালে, ভুল টাইটেল দিলে, অপ্রাসঙ্গিক ট্যাগ দিলে, ডেসক্রিপশনের স্থানে ট্যাগ বসালে, নিজের অ্যাড নিজে দেখলে বা অ্যাডে ক্লিক করলে, বা অ্যাডে ক্লিক করার জন্য ভিউয়ারদের প্ররোচনা দিলে অর্থাৎ যে কোন প্রকারের অন্যায়ের আশ্রয় নিলে অর্থাৎ ইউটিউবের যেকোন টার্মস ভঙ্গ করলে আপনাকে অল্প দিনেই এখান থেকে ব্যান করা হবে। যার পরিণতিতে আপনি পরবর্তীতে আর কোন দিন ইউটিউবিং করতে পারবেন না। অন্য ই-মেইল আইডি দিয়ে নতুন চ্যানেল খুললেও ইউটিউব আপনাকে ডিটেক্ট করে ফেলবে এবং সাথে সাথে চ্যানেল টারমিনেট করে দিবে। আশা করি আমার এই লেখা থেকে নতুনরা অনেক কিছু জানতে পারবে। আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রইব করতে চাইলে ইউটিউবে আমার নাম (Saiful bin A. Kalam) লিখে সার্চ করুন। ফেইসবুকেও একই নামে আমাকে পাওয়া যাবে।

Comments

Popular posts from this blog

কম্পিউটারে আরবি লিখন পদ্ধতি ও কিছু কথা (قَاعِدَةُ كِتَابَةِ الُّغَةِ العَرَبِيِّ فِي كَمْبِيُوتَرَ واقْوَالِهَا)

যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম  হলো ভাষা। পৃথিবীতে প্রায় ৭০০০-এরও অধিক ভাষা  (اللُّغَةُ) প্রচলিত রয়েছে। এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীরা তাদের ভাব বিনিময় করে। তবে পৃথিবীর সব মানুষই তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এ জন্যই কবি রামনিধি গুপ্ত বলেছেন-  “নানান দেশের নানা ভাষা  বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা?”   এরপরও বৈশ্বিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানুষকে বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করতে হয়।  ইংরেজি ও আরবি তার মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া মুখাভিনয়ের মাধ্যমেও মানুষ গ্লোবালি কমিউনিকেট করতে পারে। মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় জ্ঞান আহরণে আরবি ভাষা শিখাটা খুবই জরুরি। কুরআন ও হাদিসের প্রকৃত মর্মবাণী উপলব্ধি করতে হলে আরবি ভাষা জানার বিকল্প নেই। আধুনিক শিক্ষার অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার কম্পিউটার। কম্পিউটারের একেবারে প্রাথমিক ও মৌলিক স্কিল হচ্ছে টাইপিং। কম্পিউটার টাইপিং-এর সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো ফলো করলে খুব সহজে পৃথিবীর যে কোন ভাষা টাইপ করা যায়। আমি সাইফুল বিন আ. কালাম , ইংরেজি, বাংলা ও আরবি তিন ভাষারই টাইপিং পদ্ধতি নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়েছি। বাংলা টাইপিং টিউটোরিয়াল: https://youtu.be/

শিখুন ম্যাগাজিন ও বইয়ের প্লেট / সিটিপি সেটিং (জুরি)

একটি অ্যাড ফার্মে কাজ করতাম বছর তিনেক আগে। বই ও ম্যাগাজিনের অনেক কা জ করেছি। নির্দিষ্ট সাইজ নিয়ে .৭৫ ইন্সি অপসেট পাথ রেখে পেজকে কাজ অনুযায়ী দু কলাম তিন কলামে ভাগ করে লিংক করে কাজ করাটাই ডিজাইন। প্রতি ৮ পেজে ফর্মা হিসেব করে কাজ করতাম। কিন্তু বিপত্তিটা হতো আউটপুট সেটিং দিতে গিয়ে। শাফুল দা পেছনে বসে ডিরেকশন দিতো, আর আমি সেটিং দিতাম। ভাল করে বুঝতাম না। উনিও অত ইজি করে বোঝান নি। আমিও শেখার খুব আগ্রহ দেখাইনি কারণ সময়মত শাফুল দাকে তো পাচ্ছিই; তাহলে শুধু শুধু এত প্রেশার নিয়ে লাভ কী! কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাত্র বুঝবেন আউটপুট সেটিং যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যতই ডিজাইন জানেন, প্রিন্টিং আউটপুট সেটিং যদি না বুঝেন, আপনাকে সঠিক মূল্যায়ন করা হবে না। ভাল প্রতিষ্ঠানে গেলেই প্রথম প্রশ্ন আউটপুট ছাড়তে পারবেন কি না? আউটপুট সেটিং ডিজাইনের প্রাণ। অবশ্য যারা শুধুই ফ্রিল্যান্সিং করেন, লোকাল কোম্পেনিতে কাজ করেন না, তাদের ক্ষেত্রে এটা না জানলেও তেমন সমস্যা হবে না। তবে এ শিল্পে পেশাদার হতে হলে অবশ্যই প্রিন্ট আউটপুট সেটিং জানতে হবে। এরপর গুগল ও ইউটিউবে অনেক সার্চ করেও ভাল প্রিন্ট আউটপুট সেটিং-এর

সমাস শিখতে এখন আর ছয় মাস লাগেনা

সমাসের কাজ হলো একাধিক পদকে এক পদে পরিণত করা। সমাস শব্দের অর্থ হচ্ছে সংক্ষেপন বা লম্বা একটা বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করে এক শব্দে প্রকাশ করা। যেমন: শোক প্রকাশের সভা > শোকসভা। এখানে শোকসভাই হলো মূলত সমাস। আর শোক প্রকাশের সভা হলো সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্য। আমরা জানি বাক্যের অন্তরগত প্রত্যেকটি শব্দকে পদ বলে আর সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্যের প্রত্যেকটি শব্দকে সমস্যমান পদ বলে। আর সমাসকে অর্থাৎ ব্যাস বাক্য থেকে সংক্ষিপ্ত হওয়া পদটিকে বলে সমস্ত পদ। সমাজ ছয় প্রকার: আমার জনৈক বন্ধু সমাসের ছয় প্রকার কোন ভাবেই মনে রাখতে পারতো না। সে বলতো দিক অত বদদোয়া তবু আমি সমাসের ছয় প্রকার মনে রাখতে পারবনা। কিন্তু দিক অত বদদোয়া র মাঝেই সমাসের ছয় প্রকার রয়েছে।  দি = দ্বিগু ক = কর্মধারয় অ = অভ্যয়ীভাব ত = তৎপুরুষ ব = বহুব্রীহি দ = দ্বন্দ্ব প্রথমে আমরা কর্মধারয় সমাস নিয়ে বিস্তারিত শিখব। যে সমস্থ সমাসে আমরা কোন কিছুর সাথে তুলনা করি (বাস্তব, অবাস্তব বা রূপক) সেটিই কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় সমাস ৩ (তিন) প্রকার। উপমান  উপমিত রূপক উপমান শব্দের মাঝে আছে (উপমা), যেই উপমা সত্য