Skip to main content

এবার ফটোশপ নিজে নিজে কাজ করবে আপনি শুধু তাকিয়ে থাকবেন - Adobe Bridge

গ্রাফিক্স ডিজাইনের অন্যতম একটি অ্যাপস হলো এডোবি ফটোশপ। ফটোশপের সর্বশেষ ভার্সন হলো Photoshop CC 2017. ম্যাগাজিন ও ক্যালেন্ডার ছাড়া ডিজাইনের যতসব কাজ ফটোশপে করেই বেশি মজা। বর্তমানে ফটোশপের ফিচারগুলো অনেক উন্নত ও আকর্ষণীয়। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর ও ইনডিজাইনের সক্রিয় সহযোগী হিসেবে আরো একটি মজার অ্যাপ হলো এডোবি ব্রিজ। এডোবি ব্রিজের মাধ্যমে এমন কিছু জাদুকরী কাজ করা যায় যা হতবাক করে দিতে পারে আপনাকে। আজকে আমরা সে ধরণেরই একটা কাজ করতে যাচ্ছি এডোবি ব্রিজ ও ফটোশপ দিয়ে। ধরেন আপনার দুশটি ছবি আছে যেগুলো RGB থেকে CMYK করতে হবে এবং সাইজ করতে হবে ১.৫ x ২ অর্থাৎ পাসপোর্ট সাইজ। এক্ষেত্রে প্রতিটি ছবি ধরে ধরে কাজ করতে আপনার সময় লাগতে পারে ৪-৫ ঘণ্টা। যা এডোবি ব্রিজ ও ফটোশপের যৌথ সহযোগিতাই লাগবে মাত্র ৫ মিনিট। এ যেন রোবটিক কোন ব্যাপার। ফটোশপকে কাজ বুঝিয়ে দিন, আপনি একটু রেস্ট করুন। শুধু তাকিয়ে থাকবেন, সে নিজেই কাজ করে নেবে। নিজে নিজে নির্দিষ্ট ফোল্ডার থেকে ছবি ওপেন করে সব কাজ সম্পন্ন করে আবার নির্দিষ্ট ফোল্ডারে আপনার পছন্দনীয় ফরমেটে সেভ করে রাখবে। কাজটি করতে ফটোশপের পাশাপাশি এডোবি ব্রিজটাও ইন্সটল থাকতে হবে। তো আর দেরী না করে সাইফুল বিন আ. কালামের ভিডিওটি এখনই দেখে নিন যে কাজটি কীভাবে করতে হয়। ভিডিও লিংক এই কাজটি করতে প্রথমে একটি ফটোশপ অ্যাকশন তৈরি করতে হবে। অ্যাকশন রেকর্ড চালু করে যেকোনো একটি ছবিকে নির্দিষ্ট কনফিগারেশন যেমন ছবির মোড RGB থেকে CMYK করা এবং ছবির সাইজ ও রেজুলেশন ডিফাইন করে দিন। তারপর রেকর্ড বন্ধ করুন। এবার এডোবি ব্রিজ থেকে ছবির ফোল্ডারটি ওপেন করুন। CTRL + A দিয়ে সবকটি ছবি সিলেক্ট করুন। ব্রিজের Tools থেকে Photoshop - Image Processor-এ যান। এখানে ছবি সেভ করার লোকেশন দেখিয়ে দিন। ছবি সেভ হওয়ার ফরমেট চেক বাটনে ক্লিক করুন। যেকোনো একটি বা একাধিক ফরমেট সিলেক্ট করতে পারেন। যেমন PSD, JPG, TIFF ইত্যাদি। এবার Run Action চেক বক্সে ঠিক মার্ক করে আপনার তৈরি করা অ্যাকশনটি দেখিয়ে দিয়ে Run বাটনে ক্লিক করুন। এবার ফটোশপ রোবটিকভাবে নিজে নিজে আপনার ফোল্ডারের সব ছবি একটি একটি করে ওপেন করে ছবির মোড চেঞ্জ করবে, নির্দিষ্ট সাইজ করবে, রেজুলেশন ৩০০ করবে তারপর আপনার ডিফাইন করে দেওয়া ফোল্ডারে নির্দিষ্ট ফরমেটে সেভ করে দিবে। প্রতিটি ছবির জন্য এক থেকে দুই সেকেন্ড সময় নিতে পারে। ফটোশপের এরকম আরো মজার মজার কাজ দেখার জন্য নিচের প্লে-লিস্টে ক্লিক করুন। চ্যানেলে ( Saiful bin A. Kalam ) অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করবেন যদি পরবর্তী ভিডিও পেতে চান। শেয়ার করে বন্ধুদেরকেও জানিয়ে দিন।

Comments

Popular posts from this blog

কম্পিউটারে আরবি লিখন পদ্ধতি ও কিছু কথা (قَاعِدَةُ كِتَابَةِ الُّغَةِ العَرَبِيِّ فِي كَمْبِيُوتَرَ واقْوَالِهَا)

যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম  হলো ভাষা। পৃথিবীতে প্রায় ৭০০০-এরও অধিক ভাষা  (اللُّغَةُ) প্রচলিত রয়েছে। এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীরা তাদের ভাব বিনিময় করে। তবে পৃথিবীর সব মানুষই তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এ জন্যই কবি রামনিধি গুপ্ত বলেছেন-  “নানান দেশের নানা ভাষা  বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা?”   এরপরও বৈশ্বিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানুষকে বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করতে হয়।  ইংরেজি ও আরবি তার মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া মুখাভিনয়ের মাধ্যমেও মানুষ গ্লোবালি কমিউনিকেট করতে পারে। মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় জ্ঞান আহরণে আরবি ভাষা শিখাটা খুবই জরুরি। কুরআন ও হাদিসের প্রকৃত মর্মবাণী উপলব্ধি করতে হলে আরবি ভাষা জানার বিকল্প নেই। আধুনিক শিক্ষার অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার কম্পিউটার। কম্পিউটারের একেবারে প্রাথমিক ও মৌলিক স্কিল হচ্ছে টাইপিং। কম্পিউটার টাইপিং-এর সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো ফলো করলে খুব সহজে পৃথিবীর যে কোন ভাষা টাইপ করা যায়। আমি সাইফুল বিন আ. কালাম , ইংরেজি, বাংলা ও আরবি তিন ভাষারই টাইপিং পদ্ধতি নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়েছি। বাংলা টাইপিং টিউটোরিয়াল: https://youtu.be/

শিখুন ম্যাগাজিন ও বইয়ের প্লেট / সিটিপি সেটিং (জুরি)

একটি অ্যাড ফার্মে কাজ করতাম বছর তিনেক আগে। বই ও ম্যাগাজিনের অনেক কা জ করেছি। নির্দিষ্ট সাইজ নিয়ে .৭৫ ইন্সি অপসেট পাথ রেখে পেজকে কাজ অনুযায়ী দু কলাম তিন কলামে ভাগ করে লিংক করে কাজ করাটাই ডিজাইন। প্রতি ৮ পেজে ফর্মা হিসেব করে কাজ করতাম। কিন্তু বিপত্তিটা হতো আউটপুট সেটিং দিতে গিয়ে। শাফুল দা পেছনে বসে ডিরেকশন দিতো, আর আমি সেটিং দিতাম। ভাল করে বুঝতাম না। উনিও অত ইজি করে বোঝান নি। আমিও শেখার খুব আগ্রহ দেখাইনি কারণ সময়মত শাফুল দাকে তো পাচ্ছিই; তাহলে শুধু শুধু এত প্রেশার নিয়ে লাভ কী! কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাত্র বুঝবেন আউটপুট সেটিং যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যতই ডিজাইন জানেন, প্রিন্টিং আউটপুট সেটিং যদি না বুঝেন, আপনাকে সঠিক মূল্যায়ন করা হবে না। ভাল প্রতিষ্ঠানে গেলেই প্রথম প্রশ্ন আউটপুট ছাড়তে পারবেন কি না? আউটপুট সেটিং ডিজাইনের প্রাণ। অবশ্য যারা শুধুই ফ্রিল্যান্সিং করেন, লোকাল কোম্পেনিতে কাজ করেন না, তাদের ক্ষেত্রে এটা না জানলেও তেমন সমস্যা হবে না। তবে এ শিল্পে পেশাদার হতে হলে অবশ্যই প্রিন্ট আউটপুট সেটিং জানতে হবে। এরপর গুগল ও ইউটিউবে অনেক সার্চ করেও ভাল প্রিন্ট আউটপুট সেটিং-এর

সমাস শিখতে এখন আর ছয় মাস লাগেনা

সমাসের কাজ হলো একাধিক পদকে এক পদে পরিণত করা। সমাস শব্দের অর্থ হচ্ছে সংক্ষেপন বা লম্বা একটা বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করে এক শব্দে প্রকাশ করা। যেমন: শোক প্রকাশের সভা > শোকসভা। এখানে শোকসভাই হলো মূলত সমাস। আর শোক প্রকাশের সভা হলো সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্য। আমরা জানি বাক্যের অন্তরগত প্রত্যেকটি শব্দকে পদ বলে আর সমাস বাক্য বা ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্যের প্রত্যেকটি শব্দকে সমস্যমান পদ বলে। আর সমাসকে অর্থাৎ ব্যাস বাক্য থেকে সংক্ষিপ্ত হওয়া পদটিকে বলে সমস্ত পদ। সমাজ ছয় প্রকার: আমার জনৈক বন্ধু সমাসের ছয় প্রকার কোন ভাবেই মনে রাখতে পারতো না। সে বলতো দিক অত বদদোয়া তবু আমি সমাসের ছয় প্রকার মনে রাখতে পারবনা। কিন্তু দিক অত বদদোয়া র মাঝেই সমাসের ছয় প্রকার রয়েছে।  দি = দ্বিগু ক = কর্মধারয় অ = অভ্যয়ীভাব ত = তৎপুরুষ ব = বহুব্রীহি দ = দ্বন্দ্ব প্রথমে আমরা কর্মধারয় সমাস নিয়ে বিস্তারিত শিখব। যে সমস্থ সমাসে আমরা কোন কিছুর সাথে তুলনা করি (বাস্তব, অবাস্তব বা রূপক) সেটিই কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় সমাস ৩ (তিন) প্রকার। উপমান  উপমিত রূপক উপমান শব্দের মাঝে আছে (উপমা), যেই উপমা সত্য